বেসিক টু অ্যাডভান্স মোবাইল রিপেয়ারিং কোর্স - জর্জ টেলিগ্রাফ ট্রেনিং ইনস্টিটিউট

মোবাইল হলো আধুনিক সমাজের কাছে অপরিহার্য একটি বৈদ্যুতিক যন্ত্র যেটা ছাড়া হয় তোমার একটি গোটা দিন পুরোপুরি অচল. মোবাইল যে শুধুমাত্র তোমাকে বিনোদন দেয়ার কাজই করে তা নয়. মোবাইল তোমার কর্মক্ষেত্রেও নানা উপকারে আসে.

মোবাইল ফোনের এই বহুল ব্যবহার মোবাইল সারানোর চাহিদাকেও বাড়িয়ে তুলছে এবং তার জন্যই যেসব ব্যক্তি মোবাইল সারাতে জানে তারা সমাজের বিশেষ দাম ও পেয়ে থাকে। তাই তুমিও যদি মোবাইল রিপেয়ার করা শিখতে চাও তবে জর্জ টেলিগ্রাফ ট্রেনিং ইন্সিটিউট এর সাথে অতি অবশ্যই যোগাযোগ করো।

মোবাইল নামক যন্ত্রটি মূলত দুটি বিষয়ের উপর ভর করেই চলে এক হলো নানান অত্যাধুনিক যন্ত্রাংশ ও আরেকটি হলো প্রযুক্তি। আর এই দুইয়ের সমস্যা দেখা দিলেই মোবাইল ফোন অচল হয়ে পড়তে পারে। এই দুই বিষয় সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের কাজকেই মোবাইল রিপেয়ার করা বলা হয়ে থাকে।

মোবাইল রিপেয়ার করার কাজ এখন অনেক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে তার কারণস্বরূপ বলা যায় মোবাইল ফোন ব্যবহারের এই বহুল প্রচলন। যদি তুমিও এই কাজটি শিখতে চাও তা একটি অত্যন্ত উন্নত চিন্তা ভাবনা। তুমি খুব সহজেই কর্মক্ষেত্রে উন্নতি করতে পারবে যদি তুমি একটি উন্নত মানের প্রতিষ্ঠান থেকে মোবাইল রিপেয়ারিং কোর্স করো।.

প্রত্যেক কাজ শেখার আগেই কিছু পূর্ববর্তী যোগ্যতা অর্জন করা বাঞ্চনীয় আর এই মোবাইল সার্ভিসিং ট্রেনিং কোর্স ও সেক্ষেত্রে ব্যতিক্রম নয়. তাই যদি তুমি এই কোর্সটি করতে চাও এক্ষেত্রে কিছু পূর্ববর্তী যোগ্যতা তোমাকে অর্জন করতে হবে তা এক এক করে নিচে উল্লেখ করা থাকলো,

• তোমাকে অতি অবশ্যই উচ্চমাধ্যমিক স্তর পাশ করতে হবে. যদিও সেখানে প্রাপ্ত নম্বরের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই তবুও তোমাকে চেষ্টা করতে হবে একটু ভালো নম্বর পাওয়ার তার কারণ সেটির উপর নির্ভর করবে তুমি কত ভালো প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ লাভের সুযোগ পাবে।
• এছাড়াও তোমার যদি মোবাইলের যন্ত্রাংশ বা প্রযুক্তি সংক্রান্ত কোনো পূর্ববর্তী জ্ঞান থেকে থাকে তা তোমার জন্যই খুব ভালো তার কারণ তুমি খুব সহজেই তালে প্রশিক্ষণটিকে রপ্ত করতে পারবে।

এই বিষয়ে তোমার প্রশ্ন থাকতেই পারে যে কেন এই প্রশিক্ষণ নেয়া তোমার ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য উপকারী। যদিও আধুনিক সমাজের ছেলে বা মেয়ে হিসেবে তুমি এই বিষয়ে যথেষ্টই অবগত তবুও তোমার জেনে রাখা ভালো যে,

• যে হারে মোবাইল ফোন ব্যবহারের প্রবণতা আজকালকার সমাজে বাড়ছে তাতে মোবাইল ফোন খারাপ হলে তা একদিনও ফেলে রাখা অসম্ভব আর তাই সমাজ এমন কোনো ব্যক্তিকেই গুরুত্বের চোখে দেখবে যে পেশাগত ভাবে এই কাজটি করে অর্থাৎ যে সহজেই সমস্যা বুঝে তার সমাধানের পথ বলে দিতে পারবে।
• শুধু যে তুমি কোনো উচ্চপদস্থ সংস্থার কর্মী হিসেবে নিযুক্ত হয়ে নিজের কর্মজীবন অতিবাহিত করতে পারবে তা নয় তুমি চাইলে নিজের ব্যবসাও চালু করতে পারো। সেক্ষেত্রে তুমি নিজের কর্ম দক্ষতা দিয়ে উন্নতি করতে পারবে।

কি কি বিষয় বিবেচনা করে দেখা উচিত প্রশিক্ষণ নেয়ার আগে?

কোনো বিষয় প্রশিক্ষণ নেবে তার আগে কিছু বিষয় তোমার বিবেচনা করে দেখা উচিত তা না হলে তোমার সময় এবং অর্থ এই দুই ব্যায়ই বিফলে যেতে পারে। মোবাইল রিপেয়ারিং কোর্স করার আগে যে যে বিষয়গুলো তোমার ভেবে দেখা উচিত তা হলো,

• তোমার সত্যি এই কোর্সটি করতে মন থেকে আগ্রহ আছে কিনা, তা না থাকলে কিন্তু তুমি কখনো কর্মক্ষেত্রে উন্নতি লাভ করতে পারবে না তার কারণ তুমি প্রশিক্ষণটি ভালোভাবে রপ্ত করতে পারবে না.
• যে বিবেচ্য বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তা হলো কোন প্রতিষ্ঠানটি এই প্রশিক্ষণ প্রদানকারী কেন্দ্র হিসাবে সবার সেরা। যদি সর্বশ্রেষ্ঠ কে বেছে নিতে না পারো সেক্ষেত্রে অনেক সমস্যাই আসতে পারে আর তার মধ্যে অন্যতম হলো তোমার শিক্ষা অসম্পূর্ণ থেকে যাবে যা তোমাকে কর্মক্ষেত্রে উন্নতিকে বাধাপ্রাপ্ত করবে।

কোন প্রতিষ্ঠানটি সবচেয়ে যোগ্য তা খুঁজে বের করা কোনো সহজ কাজ নয় তবে যদি তুমি চাও সেক্ষেত্রে তুমি তা খুঁজে বের করতেই পারো। তোমাকে শুধুমাত্র কিছু বিষয় পর্যালোচনা করে দেখতে হবে এবং যদি তুমি তা সফল ভাবে পর্যালোচনা করে দেখতে পারো তাহলে তুমি নিঃসন্দেহে এমন এক প্রতিষ্ঠানের দ্বারস্থ হবে যা এই বিষয়ে সর্বশ্রেষ্ঠ।

• তোমাকে অতি অবশ্যই নিজের আত্মসমালোচনা করে দেখতে হবে যে তুমি আদতে এই কাজটি করার জন্য মন থেকে আগ্রহী কিনা। কারণ একটি প্রশিক্ষণ শুরু করার পর কখনই উচিত নয় সেটিকে মাঝ পথে থামিয়ে দেয়া। এক্ষেত্রে কিন্তু তোমার পেশার ক্ষতি হতে পারে।
• আরেকটি বিষয় যেটা ভীষণ রকম জোরদারভাবে বিবেচ্য হওয়া উচিত তা হলো একটি সুযোগ্য প্ৰতিষ্ঠান খুঁজে বের করা. সেক্ষেত্রে যখন তুমি গুগল কে প্রশ্ন করবে, “হুইচ আর দা বেস্ট পার্লার ক্লাসেস নিয়ার মি?” তখন তার দেয়া প্রথম তিনটি উপদেশের মধ্যেই বেছে নেয়া ভালো।

কোন প্রতিষ্ঠানটি সবচেয়ে ভালো তা বেছে নেয়ার কিছু কৌশল আছে. যদিও কাজটা খুব একটা সহজ না তবুও তুমি যদি কিছু পদক্ষেপ অনুসরণ করো তাহলে তুমি খুব সহজেই বুঝতে পারবে কোন প্রতিষ্ঠানটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে সবচেয়ে ভালো।

• তুমি অতি অবশ্যই কোনো অভিজ্ঞ ব্যক্তির সাথে পরামর্শ কর ভর্তি হওয়ার আগে তার কারণ প্রাক্তনী হিসেবে সে তার প্রতিষ্ঠান থেকে কতটা উপকারী সে বিষয়ে জানা তোমার দরকার।
• পাঠক্রম প্রতিষ্ঠান বিশেষে আলাদা হয় ঠিকই তবে কোনো প্রতিষ্ঠান সর্বশ্রেষ্ঠ তখনি হবে যখন তার পাঠক্রমটি স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে অর্থাৎ এই প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত সব বিষয় সেই পাঠক্রমের অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

কোনো প্রতিষ্ঠান উন্নত মানের তখনি ধার্য হবে তখনই যখন সে তোমাকে তোমার জীবনের প্রথম অর্থ উপার্জনের সুযোগ এনে দেবে। আর এক্ষেত্রে জর্জ টেলিগ্রাফ ট্রেনিং ইন্সটিউট এর জুড়ি মেলা ভার. তারা বেশ কিছু অত্যাধুনিক প্রশিক্ষণ প্রদান করে এই মোবাইল ফোন রিপেয়ার সংক্রান্ত যা তোমার কর্মজীবনে বিশেষভাবে উপযোগী হবে.

এই প্রতিষ্ঠানটি মোবাইল রিপেয়ার সংক্রান্ত অনেকগুলো কোর্সেই পাঠক্রমের অন্তর্ভুক্ত করেছে এবং সেই কোর্সগুলো করে আজ বহু ছাত্র ছাত্রই তাদের কর্মজীবনে বিশেষ উন্নতির শিখরে পৌছেছে। যে সব কোর্সগুলো এই প্রতিষ্ঠান করিয়ে থাকে তা হলো,

• মোবাইল এন্ড টেলিফোন রিপেয়ারিং টেকনিশান কোর্স
• মোবাইল এন্ড টেলিফোন রিপেয়ারিং মেকানিক কোর্স
• স্মার্টফোন রিপেয়ারিং টেকনিশান কোর্স(জুনিয়র)
• স্মার্টফোন রিপেয়ারিং টেকনিশান কোর্স (সিনিয়র)

এর মধ্যে যেকোনো একটি মোবাইল সার্ভিসিং ট্রেনিং কোর্স করে তুমি তোমার কর্মজীবনে যথেষ্ট উন্নতির শিখরে পৌঁছবে তবে একটিই বিষয় যেটা তোমাকে মাথায় রাখতে হবে তা হলো তোমাকে অবশ্যই কোনো উন্নতমানের প্রতিষ্ঠানকে খুঁজে নিতে হবে.

তুমি উক্ত বিষয়গুলোকে পর্যালোচনা করলেও অনেক উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠানের নাম পাবে তবে যদি তোমার হাতে এত সময় না থাকে এবং তুমি এই ক্ষেত্রে একেবারেই নবাগত হও সেক্ষেত্রে জর্জ টেলিগ্রাফ ট্রেনিং ইন্সটিউটকেই তোমার বেছে নেয়া ভালো। কারণ স্বরূপ বলা যায় এর অত্যাধুনিক পাঠক্রম, ও রকমারি কোর্স এই প্রতিষ্ঠানটিকে বিশেষ জনপ্রিয় করে তুলেছে।